মোহাম্মদ আলী,সিজে নিউজ:
জীবন প্রদীপ আজ তার নিভু নিভু প্রায়। নিভু নিভু নয়ন প্রদীপও। চোখে আর আগের মতো দেখেন না। সবকিছু যেন ঝাপসা ধোঁয়াশা । কারণ তার দুই চোখের রেটিনা নষ্ট হয়েগেছে! চিকিৎসকের মতে, দ্রুত অপারেশন না করা হলে অন্ধ হয়ে যাবে দুই চোখ। আপাদত যে চিকিৎসা চলছে তাতে প্রতিমাসে ১টি ইনজেকশন নিতে হয়। যার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। আরও আছে আনুষাঙ্গিক অসুধ ৫ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে প্রতিমাসে প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা। অথচ আয় করার ক্ষমতা নেই তার ৫০ টাকা !
বলছি, জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া গ্রামের জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়া মোঃ জিয়াউল হক রূপার ( ৫৬ ) করুণ কাহিনী। যিনি বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
জানা যায়, একসময়ের ফার্মেসী ব্যবসায়ী দাম্পত্য জীবনে ৩ সন্তানের জনক। পুরো সংসারের দায়িত্ব তার কাঁধে। ছোট ফার্মেসীটা ছিল জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। অভাব অনটন ও চিকিৎসার প্রয়োজনে সেটাও হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। বর্তমানে অসুখ মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। আগের মরণব্যাধি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সাথে যোগ হয়েছে চোখের সমস্যা। দুই চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে গেছে। চোখে আর আগের মতো দেখেন না। সব ঝাপসা দেখেন। ডাক্তার বলেছেন দ্রুত অপারেশন না করা হলে দুই চোখ অন্ধ হয়ে যাবে। আপাদত যে চিকিৎসা চলছে তাতে প্রতিমাসে ১টি ইনজেকশন নিতে বলা হয়েছে। যার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। জীবনের সমস্ত সঞ্চয় ও আপনজনদের সহযোগিতায় দুই একটি ইনজেকশন নিতে পারলেও কয়েকমাস যাবত আর নিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় অত্যান্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন রূপার পরিবার!
তাই, অগত্যা দেশের প্রসাশন ও সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।