অভিযোগে জানা যায়, ২০১১ সালে ইসলামপুর পৌর শহরের দক্ষিণ দরিয়াবাদ গ্রামের মুহাম্মদ আনোয়ার কবির(৪৫) ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে ডেবরাইপেচ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। যার বর্তমান নাম আফরোজা ফরিদ সুরুজ্জামান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। উক্ত প্রতিষ্ঠান,চাকুরী ও জমিজমা নিয়ে ডেবরাইপেচ গ্রামের আবুল হোসেন ও তার পুত্র শহিদুল্লাহ গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এক পর্যায়ে আবুল কাশেম বাদী হয়ে হয়রানি মূলক উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আনোয়ার কবির গংদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতের পরামর্শে এবং স্থানীয় মাতাব্বর গণের মধ্যস্থতায় উক্ত মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মামলা মিমাংসা হওয়ার শর্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নিকট বাদীপক্ষ ৩০০টাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ১৫ লক্ষ টাকা ও আরও ১৬ লক্ষ টাকাসহ মোট ৩১লক্ষ টাকা নেন এবং বাদী হলফনামায় অঙ্গীকার মোতাবেক আদালত থেকে মামলাগুলি নিজ দায়িত্বে তুলে নেন এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শিক্ষক, কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ, আপত্তি প্রত্যাহার করে নেন এবং শর্ত থাকে যে মামলা দুটি নিষ্পত্তির পর কোন আপত্তি অভিযোগ করলে তা আইনের দৃষ্টিতে অচল বলে গন্য হবে। কিন্তু সেসব শর্ত ভঙ্গ করে সরকার পরিবর্তনের পর আবারও টাকার লোভে অত্র প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে।
এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠানের ভূয়া প্রতিষ্ঠাতা পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ প্রদান,পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করে। আফরোজা ফরিদ সুরুজ্জামান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২৪ফেব্রুয়ারি/২৫ ইং তারিখে শর্ত ভঙ্গকারী প্রতারকদের বিরুদ্ধে জামালপুর,ইসলামপুর সি আর আমলী আদালতে ৪২০/৪০৫/৪১৭/১০৯ ধারার অভিযোগে মোকদ্দমা দায়ের করেন।
উক্ত মোকদ্দমায় আসামীদের প্রতি সমন জারি হলে রবিবার(১৩এপ্রিল) আসামীরা আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত ১নং আাসামী আবুল কাশেম ও তার পুত্র ২ নং আসামী শহিদুল্লাহকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।