ওসমান হারুনী,সিজে নিউজ ডেস্ক:
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদী চরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়ানো পূর্ব কোদালধুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে বেহাল অবস্থায় পাঠদান। বৃষ্টি হলেই এক চালার ফাঁক দিয়ে পানি ক্লাসে পড়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। জরাজীর্ণ পরিবেশ বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে,ইসলামপুর উপজেলার যমুনার দ্বীপচর সাপধরী ইউনিয়নে ২০০০সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব কোদালধুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ দিন পর গত ২০২২সালে এমপিও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে ১৫জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরতসহ ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে মোট ১২৬জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সাপধরীর কোদালধুয়া, জিগাতলা, ইন্দুল্লামারী ও কটাপুরসহ দূর্গম চরাঞ্চল্যের শিক্ষা ব্যবস্হার একমাত্র আলোর প্রদীপ বিদ্যালয়টি।
শিক্ষার্থী আজম,ইতি,ছালাম ও আশামনি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের চাল উপড়ে যায়, এখন একচালায় বৃষ্টি হলেই ক্লাসে পানি পড়ে,রোদ ও গড়মেও ক্লাসে থাকা যায়না, স্কুলের লেখা পড়া করার কোন পরিবেশ নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছাদ হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান,গত ৩মাস আগে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের চাল উড়ে যায়। রোদ বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে জরাজীর্ণ একচালা ঘরে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এছাড়াও বিদ্যুৎ নেই, টয়লেট নেই, কমনরুম, মাঠে মাটি ভরাট করাসহ নানান সমস্যায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় লেখাপড়া পরিবেশ করতে একটি একাডেমিক ভবন জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগের নিকট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ বিদ্যালয়টির ঘর সংস্কারসহ শিক্ষার পরিবেশ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।