নিজস্ব প্রতিবেদক: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ডিসি ও ওসির সহযোগী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন সাকিব নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে আটক সাজ্জাদ হোসেন সাকিবকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত ১১টা দিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. রেজাউল করিম মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে বিকেলে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের হরিপুর পাথালিয়া এলাকা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে থানায় মামলার বাদী অভিযোগ করতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে অভিযুক্তের স্বজনরা।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে মাটি কাটার ব্যবসা করেন রেজাউল। মেলান্দহ উপজেলার চিনিতুলা গ্রামের পাশে মরাখাল হতে কন্ট্রাক্টরকে মাটি কাটার সময় সাজ্জাদ হোসেন সাকিব ও মনির হোসেন জুইসসহ আরও কয়েকজন ডিসি ও ওসির সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে প্রতি মাসের জন্য টাকা দাবি করে। সেই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করার পর টাকা দিতে রেজাউল অপারগতা প্রকাশ করে। পরে তাকে টানা-হেঁচড়াসহ হুমকি দেয় তারা ৷ এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও সাকিবকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। দাবি করা হচ্ছে, অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন সাকিব জামায়াতে ইসলামীর নেতা সামিউল হক ফারুকীর ভাতিজা। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জামায়াতের এই নেতা।
ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলেন, আমরা মাটি কেটে খাই। জুইস নামের এক ব্যক্তি একদিন বলল, সপ্তাহে ৩৩ হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে ডিসি ও ইউএনও কেউ সমস্যা করবে না। পরে টাকা দিতে রাজি হলাম, তবে ডিসির সঙ্গে দেখা করে দিবো বলেছি। এরপর সাকিবকে ডিসি সাজিয়ে এনে টাকা চায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আটক আসামি ডিসি ও ওসির পরিচিত লোক বলে টাকা দাবি করেছিল। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশকে জানায়। আমরা তাকে জনতার হাত থেকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় রেজাউল করিম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। অপর পলাতক আসামির বিরুদ্ধে এর আগেও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার অভিযান চলছে।