নিজস্ব প্রতিবেদক :
জামালপুরের ইসলামপুরে এজাহারভুক্ত আসামী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে না ছাড়াই ওসিকে বদলীর হুমকি দিয়েছেন ইসলামপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায় হামিদুর রহমান মলিন । এমন অভিযোগ করছেন ইসলামপুর থানার ওসি মো: সাইফুল্লাহ সাইফ।গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল খালেক উপজেলার চর পুটিমারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ জানান- একটি মারামারির মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন আব্দুল খালেক। রোববার রাত ২টার দিকে আব্দুল খালেককে গ্রেপ্তার করে থানা আনার পর থেকেই তাকে ছাড়াতে তদবীর করতে থাকে যুবদল নেতা মলিন। তিনি রাজি না হলে একসময় তাকে মোবাইল ফোনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলির হুমকি দেন মলিন। এরপর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা জানিয়েছেন ওসি।
তবে এবিষয়ে জানতে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হামিদুর রহমান মলিনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়- গত ১১ মার্চ উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে গত রোববার (১৬ মার্চ) রাতে বেনুয়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমানকে প্রধান আসামি দিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বেনুয়ারচর বেপারীপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মিষ্টার আলী। রাত ২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে নিজ বসতবাড়ি থেকে আটক করে।