রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত টাউন হলে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষকের সমন্বয়ে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে নেত্রকোনা জেলার স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার আহবায়ক শামসুল আলম বলেন, “আমরা রাজপথে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে আমরা আমাদের দাবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট উপস্থাপন করতে পেরেছি এবং ইউনুস সরকারের আশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রয়োজনে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও তা বাস্তবায়ন করাতে বাধ্য করব।”
এছাড়াও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট,
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আল আমিন সহ বক্তারা সম্মেলন হতে দ্রুত জাতীয়করণের জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করার আহব্বান জানা।
উল্লেখ্য যে, গত মাসে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকদিন অনশন করার পর সারাদেশে অধিকার বঞ্চিত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাসভবন বরাবর লং মার্চ শুরু করলে, শাহবাগে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয় এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। তারা তাদের দাবির প্রতি সম্মান না দেখিয়ে বরং তাদের ওপর পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের মারমুখী অবস্থান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে সারা বাংলা ছাত্র সমাজ, পিতৃ সমতুল্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর টর্চার কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি। সেজন্য আপামর ছাত্র সমাজ ও ইনকিলাব মঞ্চ পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। সেদিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও সচেতন তওহিদি ছাত্র জনতার অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের টনক নড়ে। সুতরাং সরকার অধিকার বঞ্চিত এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে জাতীয়করণের আশ্বাস দেয়া হয়। তবে এই জাতীয়করণ ধাপে ধাপে হবে এমনটাই জানিয়েছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার অধীনস্থ একজন। কিন্তু আশ্বাসের প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও জাতীয়করণের কোন কার্যকরী সিদ্ধান্ত মন:পুত না হওয়ায় অধিকার বঞ্চিত সারা দেশের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী শিক্ষক ঐক্যজোট সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের টাউন হলে ময়মনসিংহ জেলার বিভাগীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।