সিজে নিউজ’নিজস্ব প্রতিনিধি:
জামালপুরের ইসলামপুর চরদাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসমত আলীর নারি কেলেঙ্কারী ঘটনায় নৈতিক চরিত্র স্খলিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়ার দাবী তুলেছেন সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৯ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্কুল ছুটির আগেই বাড়িতে গিয়ে সবার অগোচরে তার সভুকুড়া নিজ বাড়িতে এক বিধবা নারীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় স্হানীয়রা হাতে নাতে ধরে ফেলে শিক্ষক হাসমতকে। পরে এই ঘটনায় স্হানীয় লোকজন ওই মহিলাকে হাসমতের বাড়ীতেই রেখে দুই দিন পর শালিশ দরবার করে ওই মহিলার সাথে মিমাংসা ও শিক্ষকের নারী কেলেঙ্কারী ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের ঘটনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহলে।
এলাবাসীর সচেতন মহল তাই নারি কেলাঙ্কারী ঘটনায় অভিযুক্ত এমন নৈতিক চরিত স্খলিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাসমত আলী উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সে তার দোকানে ওই নারীর পায়ে ড্রেসিং করার সময় স্হানীয় লোকজন তাকে নারীসহ আটক করে। পরে বিষয়টি এলাকায় মিমাংসা হয়েছে।
এব্যাপারে ইসলামপুর চরদাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা জানান, নাছিমা বেগম জানান, বিষয়টি নিয়ে সেই এলাকার ১০/১২জন ছেলে এসে স্কুলে বিচার দিলে আমি বলেছি এটি তার পারিবারিক ঘটনা; স্কুলের কোন ঘটনা না, বাড়ির ঘটনা সে যেন বাড়িতে মিমাংসা করে স্কুলে আসে। পরে এলাকায় ঘটনাটি মিমাংসা করে সে শিক্ষক স্কুলে আসছে। এদিকে
স্কুলে বিচার দেওয়ার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই নৈতিক চরিত্র স্খলিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনায় সচেতন অভিভাবক মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বলছে যে, শিক্ষক নারী কেলেংকারী ঘটনা সাথে জড়িত এমন শিক্ষকে সঠিক বিচার না হলে এই স্কুলে আর ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠাবে না।
এব্যাপারে বিদ্যালয়টির এডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আইয়ূব আলী জানান, এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকও আমাকে কিছু জানায় নি। তবে শিক্ষক হয়ে যদি নারী কেলেংকারী সাথে জড়িত হয়,অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।